আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) কি দুর্নীতির ছাপ পড়বে? -গ্রাফিক: সুবর্ণরেখা টিম |
নিজস্ব প্রতিবেদন
বছর ঘুরলেই রাজ্যে আরও একটা ভোট। দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। তার আগে বঙ্গ রাজনীতির হাওয়া গরম চাকরি দুর্নীতি (Recruitment Scam), গরুপাচার (Cow Smuggling), কয়লাপাচার (Coal Scam) ইস্যুতে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের (TMC) একাধিক নেতা-মন্ত্রী জেলে। আরও অনেককে জেলের হাওয়া খেতে হবে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। প্রায় রোজ সকাল হলেই অভিযানে বেরিয়ে পড়ছে সিবিআই-ইডি। উদ্ধার হচ্ছে টাকার পাহাড়। পাল্টা অভিযান চালাচ্ছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি-ও।
কিন্তু প্রশ্ন হল, সত্যিই কি দুর্নীতি প্রভাব ফেলে ভোটবাক্সে? বা আদৌ কি এই নিয়োগ দুর্নীতি ছাপ ফেলবে ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটে। রাজনৈতিক দিক থেকে বললে, তৃণমূল কি পারবে ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে কিংবা বিজেপি (BJP), সিপিএম (CPM), কংগ্রেস (INC)-সহ বিরোধীরা কি এই দুর্নীতির ফায়দা ভোটবাক্স পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারবে? রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে এই সব প্রশ্ন।
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উক্তি ছিল, ‘‘আগে জানলে এদের টিকিট দিতাম না।’’ এদের বলতে কাদের? নারদ কাণ্ড নিয়ে সেই সময় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এদের বলতে নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত নেতাদের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং বলেছিলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে তিনিই প্রার্থী। সূতরাং কে প্রার্থী না দেখে তাঁকে ভোট দিন। দলনেত্রীর সেই কৌশলেই বাজিমাত করে তৃণমূল। ভোটের ফলে দেখা যায়, শুধু যে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তাই নয়, নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত নেতারাও সসম্মানে উতরে গিয়েছেন ভোটের পরীক্ষায়। নারদ দুর্নীতির আঁচ ভোটবাক্সে মোটেই পড়েনি। যদিও একথাও সত্যি যে বিজেপি তখনও এতটা শক্তিশালী হয়নি। ২০১১-র ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বামেরা। কেন্দ্রে ক্ষমতা হারিয়ে কংগ্রেসও ম্রিয়মান। ফলে সে দিক থেকেও তৃণমূলের জয় অনেকটা সহজ হয়েছিল।
দেশে ভুরি ভুরি দুর্নীতি, ছাপ ফেলেছে রাজনীতিতে?
ভিনরাজ্যেও এমন নজির ভুরি ভুরি। একটা সময় বলা হত হরিয়ানায় লাল মুখ্যমন্ত্রী। তিন লাল ছিলেন - দেবী লাল, বংশী লাল এবং ভজন লাল। তিন জনের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির বহু অভিযোগ। অথচ ঘুরে ফিরে তাঁরাই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। অবশ্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে দেবী লালেরই পুত্র ওম প্রকাশ চৌটালা এবং নাতি অজয় চৌটালা ১০ বছর জেল খেটেছেন। জয়ললিতার বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় ২০১৪ সালে জয়ললিতার চার বছরের জেল হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বিচারপ্রক্রিয়াই চলে ১৮ বছর ধরে। এই বিচার চলাকালীনই তিনি দু’বার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন। দুর্নীতি তাঁর কেরিয়ারে কার্যত প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং দান-খয়রাতির রাজনীতির জেরে তিনি তামিল জনগণের কাছে তিনি ছিলেন দেবীর মতো। না হলে তাঁর মৄত্যুর পর অন্তত ২০ জন আত্মহত্যা করতেন না। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জেল খেটেছেন লালুপ্রসাদ যাদব। অথচ সাজা হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি এক বার এবং তাঁর স্ত্রী এক বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আবার সাজার মেয়াদ শেষে ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরেছেন লালুপ্রসাদ। সম্প্রতি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখাও করে এসেছেন।
দুর্নীতিতে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি খোয়ান নওয়াজ
নজির রয়েছে বিদেশেও। দুর্নীতির দায়ে পাক প্রধানমন্ত্রিত্বের কুর্সি খোয়াতে হয়েছে নওয়াজ শরিফের। পানামা পেপারস্-এ তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে যায়। পাক সুপ্রিম কোর্টে প্রমাণিত হয় যে, তিনি তাঁর মনোনয়নের সঙ্গে এফিডেভিটে বিদেশের সম্পত্তির উল্লেখ নেই। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জাতীয় সংসদের সদস্যপদ খারিজ করে দেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর গদি ছাড়তে বাধ্য হন নওয়াজ।
একাধিক দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূলের অনেক শীর্ষনেতা
আর বঙ্গ রাজনীতিতে দুর্নীতির বিবিধ রতন। রাজ্যে যখনই কোনও কেলেঙ্কারি বা দুর্নীতি সামনে এসেছে, তার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বর্তমান শাসক দলের। যদিও এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত একটিও দুর্নীতির মামলায় চূড়ান্ত রায় হয়নি। অথবা হলেও এখনও কেউ সাজাপ্রাপ্ত হননি। তবে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা জেল খেটেছেন।
টাকার বিনিময়ে চাকরি
টাকার বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে। তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আঁতকে উঠেছে গোটা বাংলা। মিলেছে বিপুল সম্পত্তির হদিশ। গ্রেফতার হয়েছেন আরও কয়েকজন পদাধিকারী। আরও গ্রেফতারির সম্ভাবনা রয়েছে।
গরু-কয়লা পাচার
গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতরও বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এমনকি, তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীরও বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসাররা। এছাড়া তাঁর মেয়ে সুকন্যার প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়া নিয়েও উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ।
সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি
সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার হন কুণাল ঘোষ। তখন তিনি দলের রাজ্যসভার সাংসদ। দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন কুণাল। সেই সময় দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করা হলেও সারদা কাণ্ডে জেলমুক্ত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। আর এখন তো তিনি দলের প্রধান মুখপাত্র। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও গ্রেফতার হয়েছিলেন সারদাকাণ্ডে। দীর্ঘদিন ওড়িশায় জেল হেফাজতে ছিলেন। তার মধ্যে অবশ্য বেশিরভাগ সময়েই হাসপাতালে ছিলেন। তবে গ্রেফতার হলেও তাঁর সাংসদ পদ যায়নি। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও তিনি আবার সাংসদ হয়েছেন। সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন মদন মিত্রও। গ্রেফতার হওয়ার সময় তিনি ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী। মন্ত্রিত্ব না পেলেও ফের স্বমহিমায় মদন। ফের কামারহাটির বিধায়ক হয়েছেন তিনি।
নারদ স্টিং অপারেশন
নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডে এক দিনে গ্রেফতার হন রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা। তার মধ্যে ছিলেন রাজ্যের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিম। তার সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র। মদনের কথা আগেই বলেছি। গ্রেফতারিতে প্রভাব পড়েনি সুব্রত বা ফিরহাদের কেরিয়ারেও। সুব্রত প্রয়াত হওয়ার আগে পর্যন্ত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। ফিরহাদের এখন শুধু পুরমন্ত্রী নন, দলনেত্রীর অন্যতম পছন্দেরও। একইসঙ্গে গ্রেফতার হন সেই সময় বিজেপিতে থাকা শোভন চট্টোপাধ্যায়। দুর্নীতির অভিযোগ অবশ্য তৃণমূলে থাকার সময়েই। তখন তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র এবং রাজ্যের একাধিক দফতরের মন্ত্রী। বর্তমানে অবশ্য রাজনীতিতেই নেই শোভন।
রোজভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারি
রোজভ্যালি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক তাপস পাল। তিনিও ওড়িশায় জেল হেফাজতে থেকেছেন দীর্ঘদিন। এছাড়াও রামপুরহাটের বগটুইয়ে বহু বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন দলের নেতা আনারুল মণ্ডল। হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন সমরেন্দু গয়ালি। তাঁর ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ এবং ময়নাতদন্ত না করেই দেহ সৎকার করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দু’জনই অবশ্য বর্তমানে জেলবন্দি।
গ্রাফিক: সুবর্ণরেখা টিম |
সানমার্গ চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হয়েছে হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। তাঁর বাড়ি থেকেও বিপুল পরিমাণ নগট টাকা উদ্ধার হয়। এছাড়া বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার অপরাধ প্রমাণ করতে পারবে ইডি? দোষ প্রমাণ হলে পার্থর কত দিনের জেল?
দেশ-বিদেশ-রাজ্যের এই সব উদাহরণ থেকে একথা কথা স্পষ্ট যে, ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কেরিয়ার হোক বা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল- কোনও ক্ষেত্রেই দুর্নীতি খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারে না। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত হলে হয়তো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির রাজনৈতিক কেরিয়ারে ধাক্কা লাগে। কারণ, সাজাপ্রাপ্ত হলে সাজার মেয়াদ শেষের পরেও আরও ছ’বছর প্রার্থী হতে পারেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। তবু রাজনীতি করতে সমস্যা হয় না। আর সাজা না হলে সাময়িক জেল হাজত খাটলে তো কার্যত কোনও প্রভাবই পড়ে না।
কেন এত দুর্নীতি
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এর কারণ অনেকগুলি। প্রথমত, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো তৄতীয় বিশ্বের দেশে রাজনীতির সঙ্গে দুর্নীতি আষ্টেপৄষ্টে জড়িয়ে গিয়েছে। জনগণেরও অনেকটা গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। এই সব দেশের নাগরিকদের মনোভাব এমন যে, যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা তো টাকা কামানোর জন্যই রাজনীতি করেন। সূতরাং এতে আর দোষ কী? ফলে নেতারাও দুর্নীতি করে যান। তাঁরাও জানেন, দুর্নীতি করলেও সাজা না হওয়া পর্যন্ত কেরিয়ারে প্রভাব পড়বে না। দল ক্ষমতায় থাকলে তিনিও থাকবেন।
দ্বিতীয়ত, বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা। দেশে বিচারপতিদের এতই সঙ্কট যে এক একটা মামলা শেষ হতে দীর্ঘ বছর লেগে যায়। তাছাড়া নেতারা প্রভাবশালী। টাকার সমস্যাও হয় না। ফলে নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্ট, সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে ডিভিশন বেঞ্চ, সুপ্রিম কোর্ট, সেখানেও একাধিক প্রক্রিয়া শেষ হতে যে সময় গড়িয়ে যায়, ততদিনে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারও প্রায় শেষের পথে। ধুরন্ধর নেতারাও এই বিষয়টা জানেন।
তৄতীয়ত, দুর্নীতি করেও পার পেয়ে যাওয়ার নজির হাতের কাছে এত যে, তাঁরাও সাহস পেয়ে যান। আইনি মারপ্যাঁচ আর দীর্ঘসূত্রিতার জেরে কার্যত কোনও শাস্তিই হবে না, এই ভেবে আরও আরও দুর্নীতিতে লিপ্ত হন। আবার দেশে যে সব দুর্নীতি দমন আইন রয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের। আন্না হাজারের আন্দোলনে দেশে লোকপাল বিল তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেখানেও আন্না হাজারের অনেক দাবিই মানা হয়নি। সেই বিলও দুর্নীতিগ্রস্তদের সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বল বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই।
ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলে দুর্নীতি?
আবার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, দুর্নীতির প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে কিনা, বা কতটা পড়বে তা অনেকটাই নির্ভর করে দলের বা দলের নেতা-নেত্রীর রাজনৈতিক কৌশলের উপর এবং অনকেটাই প্রতিপক্ষের উপর। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে যেমন দুই কৌশলই কাজ করেছিল তৃণমূলের পক্ষে। কিন্তু ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোট বা ২০২৪-এর লোকসভা ভোট কিংবা ২০১৬-এর বিধানসভা ভোটে কি বর্তমান শিক্ষা দুর্নীতি বা গরু-কয়লা পাচার দুর্নীতি প্রভাব ফেলবে? অনেকেই মনে করেন, ইতিমধ্যেই তৃণমূল অনেকটা সামলে নিয়েছে। পার্থকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে একটা বার্তা দেওয়া গিয়েছে। কার্যত পার্থকে ছেঁটে ফেলে দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখার চেষ্টা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের বাকি আরও অন্তত ৬ মাস। ততদিনে নতুন কোনও দুর্নীতি সামনে না এলে এই শিক্ষা দুর্নীতি বা কয়লা-গরু পাচার দুর্নীতি চলে যেতে পারে পিছনের সারিতে। এই ইস্যুকে পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত জিইয়ে রাখা বিরোধীদের কাছেও চ্যালেঞ্জ।
মনে পড়ে যাচ্ছে মার্কিন রম্য লেখক জেরাল্ড বারজানের সেই বিখ্যাত উক্তি, ‘‘প্রতিটি নির্বাচন থেকে আমরা কী শিখি? এটাই শিখি যে আগের নির্বাচন থেকে আমরা কিছুই শিখিনি।’’ কিংবা আরেক মার্কিন রম্য রচয়িতা ও অভিনেতা উইল রজার্সের কথা, যিনি বলেছিলেন, ‘‘আমরা সব সময় আশা করি যেন সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীরই জয় হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কখনওই সেটা হয় না।’’ অথবা ব্রিটেনের নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের অভিনেতা ফ্র্যাঙ্ক ডেনের উক্তি, “ সবচেয়ে ভাল ব্যক্তিকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাকেই ভোট দিন যে সবচেয়ে কম ক্ষতিসাধন করবে।’’