কোন স্কুলের মাস্টার, কোথায় বাড়ি? ১৮৩ ঘুষের শিক্ষকের নাম বেরোতেই প্রশ্ন

শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে (Teacher Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Juestice Abhijit Ganguly) নির্দেশে ১৮৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের নাম প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। অলঙ্করণ: সুবর্ণরেখা টিম

পরিচয় গুপ্ত

ধীরে ধীরে পর্দা খুলছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Teacher Recruitment Scam)। দুর্নীতি করে ভুয়ো নিয়োগ পাওয়া ১৮৩ জন ‘শিক্ষক’-এর নাম প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছিল ২৪ ঘণ্টা। কমিশন সময় নিল পাঁচ ঘণ্টা। শুধু প্রকাশ করাই নয়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Juestice Abhijit Ganguly) নির্দেশে এক্কেবারে কমিশনের ওয়েবসাইটে টাঙিয়ে দিল, যা যে কেউ কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে দেখে নিতে পারেন বা ডাউনলোড করে নিতে পারেন। তালিকায় দেখা যাচ্ছে ১৮৩ জনের মধ্যে বাংলায় ২১ জন, ইংরেজিতে ৫৭ জন, ভূগোলে ৩০ জন, ইতিহাসে ১৭ জন, জীবন বিজ্ঞানে ২২ জন এবং অঙ্কে ও ভৌত বিজ্ঞানে ১৮ জন করে।

তবে এই ভুয়ো শিক্ষকদের কে কোন স্কুলে চাকরি করেন, বা তাদের ঠিকানা প্রকাশ করেনি কমিশন। কিন্তু বাংলার জনগণ এখন এদের খুঁজছে। কার কার চাকরি গেল, চেনা পরিচিত কেউ আছে কিনা বা নিজের এলাকার স্কুলের কোনও শিক্ষক আছে কিনা, তাই নিয়ে চরম কৌতূহল। সর্বত্র এক আলোচনা। এই সব আড্ডা, আলোচনাতেই এমনও অনেকে বলছেন, এই সব জালিয়াতদের ছবি-সহ নাম প্রকাশ করা উচিত ছিল। অন্য দিকে এই ১৮৩ জনের জন্য শুরু হয়ে দু:স্বপ্নের দিন গোণা। সামনে আরও কী কী অপেক্ষা করে আছে, সেই আতঙ্কে হাড় হিম হয়ে আসছে তাঁদের। জেলের ঘানি টানার আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে অনেকেরই। সঙ্গে লোকলজ্জা, সামাজিক সম্মানহানির ভয় তো রয়েছেই। অন্তত চেনা পরিচিত মহলে। অন্যদিকে তালিকা প্রকাশের পরেই উঠে আসছে বহু প্রশ্ন।

শাস্তি হবে ঘুষের ১৮৩ জনের?  

প্রশ্ন ১: নাম প্রকাশের পর কমিশন কার্যত বলে দিল যে এদের চাকরি খোয়া গিয়েছে। কিন্তু শুধু চাকরি খোয়া যাওয়াতেই কি সব শেষ? দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন, তার জন্য এদের আইনি পথে সাজা হবে না? ভারতীয় দণ্ডবিধির দুর্নীতি দমন আইনে ১০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। সঙ্গে জরিমানার বিধানও রয়েছে আইনে। তাহলে এদের কেন গ্রেফতার করা হবে না, এই দাবি উঠছে নানা মহল থেকে। আবার আন্দোলনকারী বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরাও এই দাবি তুলছেন। সঙ্গে এই পদগুলিতে বঞ্চিতদের নিয়োগের দাবি তো রয়েছেই। 

এতদিনের মাইনে ফেরত দেবেন? 

প্রশ্ন ২: এতদিন ধরে এই শিক্ষকরা যে মাইনে পেয়েছেন, সেই টাকা কি ফেরত দিতে হবে না? আমার-আপনার দেওয়া করের টাকায় মাসে মাসে মোটা টাকা মাইনে পেয়েছেন এই ধরিবাজরা। মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি হাতিয়েছেন। টাকা দিয়েছেন অন্য কাউকে, আর সেই টাকা মাইনের মাধ্য়মে তুলছেন জনগণের কাছ থেকে। এটা তো হতে পারে না। এবার সেই টাকা কি ফেরত দিতে হবে না? পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে মাইনে ফেরত দিতে হলে, এরা কোন হরিদাস পাল? ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, টাকা ফেরত দেওয়া শুধু নয়, সুদ-সহ ফেরত দেওয়া উচিত। কিন্তু মুশকিল হল, তাঁরা না হয় টাকা ফেরত দিলেন। সেই টাকা যাবে রাজকোষে। ফলে সেই টাকায় আবার দুর্নীতির আশঙ্কাও রয়েছে। তাই কারও কারও দাবি, যাঁদের বঞ্চতি করে এরা চাকরি পেয়েছে, তাদের চাকরি দিয়ে বকেয়া-হিসেবে ওই টাকা দেওয়া হোক। কারণ, সঠিকভাবে নিয়োগ হলে এই বঞ্চিতরাই ওই সময় থেকে চাকরি করতেন এবং জালিয়াতদের মাইনে প্রকৃত যোগ্য শিক্ষকরা পেতেন।

আরও পড়ুন: মমতার সঙ্গে দেখা হয়েছিল জ্যোতিবাবু-বুদ্ধবাবুর! তবু শুভেন্দুর সাক্ষাৎ বিরলের মধ্যে বিরলতম!

আইনজ্ঞ মহল অবশ্য বলছে, ব্যবস্থা নিশ্চয়ই হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, এদের চাকরির স্টেটাস সম্পর্কে জানাতে। অর্থাৎ কোন স্কুলে চাকরি করছেন, কত দিন ধরে চাকরি করছেন, কত টাকা মাইনে পান- ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে আদালতে। এই মামলাতেই ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার সুযোগ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু একজনও ছাড়েননি। ওই সময়ই বিচারপতি বলেছিলেন, স্বেচ্ছায় চাকরি না ছাড়লে এবং দুর্নিতি প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারেন। আর কোনও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন না, এমন নির্দেশ দেবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ফলে মাইনে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ এবং সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার মতো নির্দেশ দিতে পারে হাইকোর্ট। এমনকি, গ্রেফতারির মতো নির্দেশ দেওয়াও অমূলক নয় বলে একাংশ আইনজীবীর মত।  

কেন এত দেরিতে তালিকা প্রকাশ?

প্রশ্ন ৩: এতদিন কেন এই তালিকা প্রকাশ করেনি কমিশন? আদালত নির্দেশ দেওয়ার মাত্র পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে তালিকা প্রকাশ করে দিল কমিশন। এর থেকেই স্পষ্ট, তালিকা কার্যত তৈরিই ছিল। আদালত সূত্রে খবর, এই শিক্ষকরা সুপারিশপত্রের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন। কমিশনের কাছেও নিশ্চয়ই নথি আছে, কারা কারা সুপারিশের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, আসলে এই দুর্নীতির সঙ্গে কমিশনের একাংশও যুক্ত। অথবা দুর্নীতিতে সায় না থাকলেও প্রভাবশালীদের জন্য মুখ খুলতে পারেননি আধিকারিকরা। আবার সরকারের একাংশের চেষ্টা ছিল, ঘুষের বিনিময়ে চাকরি কিনেছেন যাঁরা, তাঁদের চাকরি বাঁচানোর। কমিশন সেই মর্মে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার আর্জি জানিয়েছিল। অর্থাৎ কারও চাকরি না খেয়ে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে সেই পদে বঞ্চিতদের নিয়োগ করতে। তাতে সাপও মরত, আবার লাঠিও ভাঙত না। বঞ্চিতরাও নিয়োগ পেত, দুর্নীতিবাজরাও থেকে যেত। কিন্তু সেই মামলায় মুখ পুড়েছে কমিশন এবং রাজ্যের। 

আরও পড়ুন: কীভাবে ধাপে ধাপে নিয়োগ দুর্নীতির নীলনকশা? চক্রব্যূহ ভেদ করতে পারবে সিবিআই ?

এটা তো ট্রেলার, পুরো ওয়েব সিরিজ কবে? 

প্রশ্ন ৪: শুধুই কি ১৮৩? এক কথায় উত্তর ‘না’। এটা শুধু মাত্র নবম-দশমের ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকার একাংশ। এছাড়াও রয়েছে গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি। সব মিলিয়ে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত ৯৫২ জন। সিবিআই এই ৯৫২ জনকে চিহ্নিত করেছে। তাদের তালিকাও একইভাবে প্রকাশিত হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবী মহলের একাংশ। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ১৮৩ জন শুধুমাত্র সুপারিশের ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন। একে তো এই রকম সুপারিশ করার অধিকার কারও নেই। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। তার উপর সেই সুপারিশপত্রেও নাকি আবার সই নকল করা হয়েছিল। ফলে জোচ্চুরি যে কত রকম ভাবে, আর কত পথে করা হয়েছে, তার কোনও ইয়ত্তা নেই। ফলে অন্য যে সব বেআইনি পথে নিয়োগ হয়েছে, সিবিআই তদন্তে তা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসতে পারে। অনেকেই তাই বলছেন, এটা শুধু ট্রেলার। পুরো ওয়েব সিরিজ এখনও বাকি। 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত তালিকা (প্রথম ও দ্বিতীয় পাতা)। ছবি: কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। 

কীভাবে শূন্যপদ পূরণ? 

প্রশ্ন ৫: ১৮৩ জনের এবং ধরা যাক আরও চাকরি যাবে, সেই শূন্যপদগুলি কীভাবে পূরণ হবে? নতুন পরীক্ষার মাধ্যমে? সেটা হলে সেই পরীক্ষাতেও যে দুর্নীতি হবে না তার কোনও নিশ্চয়তা আছে? তাছাড়া এরা চাকরি পাওয়ায় যাঁরা প্রকৃত যোগ্য, তাঁদের কী হবে? বরং পুরনো প্যানেল থেকে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও বহু কাঠখড় পোড়াতে হবে। প্রশাসনিক ও আইনি জটিলতা রয়েছে বহু। সেই সময়ে প্যানেলে থাকা অনেকেই এখন অন্য পেশায় চলে গিয়েছেন। হয়তো শিক্ষকতার চেয়েও ভাল পদে ভাল মাইনেতে চাকরি করছেন। তাঁরা না আসাটা যদিও সমস্যা নয়। অনেকের চাকরির নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গিয়েছে। পরীক্ষার সময়ের প্যানেলের হিসেবে বয়স ধরে নিয়োগে হয়তো অসুবিধা নেই। কিন্তু আসতে পারে আইনি জটিলতা। আবার এত দিনের পুরনো প্যানেল। তাঁদের সব নথি ঠিকঠাক গচ্ছিত আছে কিনা, সেটাও একটা প্রশ্ন। আবার পুরনো প্যানেলে যাঁরা বাদ গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও কেউ কেউ থাকতে পারেন, যাঁরা টাকা দিয়েও চাকরি পাননি। হয়তো নম্বর বাড়ানো হয়েছিল, তবু সামান্য নম্বরের জন্য বা অন্য কোনও কারণে চাকরি পাননি, তাঁরাও নতুন প্যানেলে ঢুকে যেতে পারে। ফলে সে এক মহা জটিল প্রক্রিয়া। 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত তালিকা (তৃতীয় ও চতুর্থ পাতা)। ছবি: কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। 

চাকরিও গেল, টাকাও গেল

প্রশ্ন ৬: চাকরি খোয়ানোর পর ঘুষের টাকা কি ফেরত পাবে এই ভুয়ো শিক্ষকরা? বিরোধী শিবির থেকে অনেকেই দাবি করছেন, যাঁদের টাকা দিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির সামনে নাকি ধর্না দেবেন চাকির হারানোরা। কিন্তু সেই সম্ভাবনা কম। কারণ, যাঁরা ঘুষ নিয়েছেন তাঁরা প্রভাবশালী। সে পাড়ার মিডলম্যান হোক, বা মন্ত্রী-সান্ত্রী কিংবা আধিকারিক। তাঁদের কাছে গিয়ে কি আর পাত্তা পাবে এই চুনোপুঁটিরা? তাছাড়া দুর্জনের ছলের অভাব হয় না, কে না জানে? ফলে ঘুষখোররা ভয় পাচ্ছেন, এমন আশঙ্কা করা মানে মুর্খের স্বর্গে বাস করা। কারণ একে তো তাঁরা প্রভাবশালী। তার উপর নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেকেই এখন জেলহাজতে। এক কথায় দেখিয়ে দেবেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অন্য কোনও জেলবন্দিকে। ভাবটা এমন যেন, ‘আমি তো এক টাকাও রাখিনি, সব তো উপর মহলকে দিয়ে দিয়েছি’। এখন জেলবন্দিদের কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চাওয়ার অর্থ কী হতে পারে, সেটা বোঝার জন্য ফেলুদা, ব্যোমকেশ হওয়ার দরকার নেই। আর কেউ যদি সদয় হন, মানে কানার মধ্যে ঝাপসা যদি কেউ থাকে, তাহলে হয়তো অল্প কিছু ফেরত পেতে পারে এই চাকরি খোয়ানো শিক্ষকরা। 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশিত তালিকা (পঞ্চম ও ষষ্ঠ পাতা)। ছবি: কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।
 

নেংটি ইঁদুররা ধরা পড়বে? 

প্রশ্ন ৭: ঘুষখোররা ধরা পড়বে? মানে মিডলম্যান থেকে শুরু করে শীর্ষস্তর পর্যন্ত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, এবার ধেড়ে ইঁদুরের নাম আসবে? হয়তো আসবে। নাও আসতে পারে। কিন্তু শুধু ধেড়ে ইঁদুর ধরলে তো হবে না। পাড়ায় পাড়ায়, ব্লকে ব্লকে যে সব মিডলম্যানরা ছড়িয়ে রয়েছে, আমার আপনার সামনে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেই সব নেংটি ইঁদুরদের ধরা যাবে? শীর্ষস্তরের লোকজন নিশ্চয়ই নিজে হাতে টাকা নেননি। একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে যারা সরাসরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এবং পৌঁছে দিয়েছেন উপর মহলে, তাঁদের ধরা যাবে কি? সেই সংখ্যাটা কিন্তু বিরাট। 

এমন হাজারো প্রশ্ন আছে। উত্তর কোনওটা জানা, অধিকাংশই ভবিষ্যতের গর্ভে। তবে দুর্নীতি যে হয়েছিল, তাতে সরকারি সিলমোহর পড়ল। সরকারিভাবে মেনে নেওয়া হল দুর্নীতির কথা। এতদিন পর্যন্ত যা ছিল অভিযোগ বা প্রমাণিত নয়, এবার আর তা বলার উপায় থাকবে না রাজ্যের শাসক দলের। একটা কথা খাওয়ানোর চেষ্টা হচ্ছে, কাজ করতে গেলে ভুল হয়। সেগুলো শোধরানোর চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বহুবার একথা বলেছেন। আর বিরোধীরাও ভুল নিয়েই পড়ে আছে। ভুল কেন হবে, ভুল শোধরাতে এত দেরি কেন, ভুলের জন্য যোগ্যরা রাস্তায় বসে- ইত্যাদি প্রশ্ন তুলে সরকার ফেলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ওদের কে বোঝাবে, এটা এটা কি ভুল? একই রকমভাবে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে তথাকথিত এই ‘ভুল’-এর জন্য ১০ বছর জেল খেটেছেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওম প্রকাশ চৌটালা। এ তো জেনেবুঝে, চক্রান্ত করে, ঠকিয়ে, মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি। দুর্নীতি বললেও কম বলা হয়। ভয়ঙ্কর এক চক্রান্ত। বিরাট এক চক্র। নিখুঁত পরিকল্পনা করে, ছক কষে জালিয়াতি করা।