মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) সফরের জন্য তোরণে নেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ছবি। |
সোমবার তিন দিনের জেলা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিন বিকেলে বীরভূম পৌঁছনোর কথা তাঁর। সন্ধ্যায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মঙ্গলবার মালদা সফরে যাবেন। কিন্তু সফর সেরে আবার বীরভূমে ফেরার কথা। বুধবার বোলপুরের ডাকবাংলো মাঠে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান রয়েছে। তার পর সেই সভায় বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গাড়ি থেকে নামতেই ওড়িশার মন্ত্রীকে গুলি সাব ইন্সপেক্টরের! ভিডিও ভাইরাল
গরুপাচার মামলায় জেলবন্দি অনুব্রত। মুখ্যমন্ত্রীর এই গোটা সফরে কেষ্টর থাকার কথাও নয়। কিন্তু তা বলে তাঁর ছবি কোথাও থাকবে না, এমনটা বীরভূমের রাজনীতিতে নজিরবিহীন। বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রী শেষ বার গিয়েছিলেন বগটুই গণহত্যার পর। তখনও ছায়ার মতো পাশে ছিলেন অনুব্রত। কিন্তু এবারের সফরে তাঁর নাম পর্যন্ত নিচ্ছেন না দলের কোনও নেতা।
অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর একাধিক সভায় অনুব্রতর হয়ে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বীরভূমে গিয়ে বলে এসেছেন অনুব্রত বীরভূমের বাঘ। আবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেও কখনও বলেছেন অনুব্রতর মাথায় অক্সিজেন কম পৌঁছয়। কখনও বলেছেন, কেষ্ট ভাল সংগঠক।
আরও পড়ুন: বিরোধীরা মনোনয়ন দিতে না পারলে ফোন করুন! অভিষেকের আশ্বাসে বহু প্রশ্ন
কিন্তু কেন এই কেষ্টবিহীন সফর মুখ্যমন্ত্রীর? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, অনুব্রত একাধিক বার জামিনের আবেদন করেছেন। কিন্তু সিবিআই-ইডি বারবার অনুব্রতকে প্রভাবশালী প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে এবং সেই প্রভাবশালী তত্ত্বেই জামিন খারিজ হয়েছে অনুব্রতর। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির সেই প্রভাবশালী যুক্তির ধার কমাতেই কি এই বন্দোবস্ত? এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় গ্রেফতার এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বাড়িতে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পরেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। এবার অনুব্রতর ক্ষেত্রেও কি সেই পথেই হাঁটতে চলেছে দল? কেষ্টর ছায়া না রেখে কি সেই বার্তাই দিতে চাইছে দল?
তবে সব প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে মুখ্য়মন্ত্রীর বুধবারের বোলপুরের সভায়। বীরভূমে দাঁড়িয়ে অনুব্রতর নাম পর্যন্ত করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটা ভাবা কঠিন। তাই রাজনৈতিকি বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ওই দিনের বার্তা থেকেই স্পষ্ট হতে পারে অনুব্রত নিয়ে দলের অবস্থান।