শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অফিসে হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। - নিজস্ব চিত্র |
গত ২০ জানুয়ারি তৃণমূল পার্টি অফিসে বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা ছড়ায়, তবে কি ঘাসফুলে ঘর ওয়াপসি হচ্ছে খড়গপুরের বিধায়কের। হিরণ অবশ্য তা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট করেছেন। প্রথম দিন জল্পনা ছড়ানোর পর হিরণ টুইটারে দাবি করেন, তিনি মধ্যপ্রদেশে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন। যদিও তৃণমূল পার্টি অফিসে যাননি, এ কথা বলেননি। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের কর্মসূচিতে থাকার কথা বলে এটা প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, তিনি পশ্চিমবঙ্গেই ছিলেন না। সূতরাং তৃণমূল পার্টি অফিসে যাওয়ার প্রশ্নই নেই।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের ঘরে হিরণ! বিজেপির তারকা বিধায়কের ঘর ওয়াপসি কি সময়ের অপেক্ষা?
তার মধ্যেই অজিত মাইতি দাবি করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই ছবি নকল নয়, আসল। তার পর জল্পনা আরও তীব্র হয়। ওই দিন আবার হিরণ আরেকটি ভিডিও টুইট করেন। কাঁথির একটি দলীয় কর্মসূচির পুরনো ভিডিও বলে দাবি করেন। যদিও তাতে দেখা যায়, তৃণমূল পার্টি অফিসে দাবি করা ছবিতে যে পোশাক, হুবহু এক পোশাক কাঁথির ওই অনুষ্ঠানেও।
এই জল্পনার মধ্যেই শুরবার কলকাতায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে গিয়ে দেখা করেন হিরণ। বিজেপি সূত্রে খবর, তিনি শুভেন্দুকে বলেছেন, তিনি বিজেপি ছাড়ছেন না। বিজেপিতেই থাকছেন। কারণ খড়গপুরের মানুষ তাঁকে যে সম্মান দিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না। তৃণমূলের উদ্দেশে শুভেন্দুকে নাকি হিরণ এও বলেছেন, তৃণমূল তাঁকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু কথা রাখেনি। তৃণমূল পার্টি অফিসে যে ছবি ছড়িয়েছে, সেই ছবি ভুয়ো এবং ফোটোশপের কারসাজি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন হিরণ।
কিন্তু এর পরও পিছু হঠতে রাজি নন অজিত মাইতি। তাঁর বক্তব্য, কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও নেতা অন্য কোনও নেতার সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। তার সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বা না দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এর পরই তাঁর আরও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘আমাদের (তৃণমূলের) ক্ষেত্রেও এমন অনেক হয়েছে, যে কোনও নেতা সকালে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, বিকেলে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।’’ ফলে হিরণের তৃণমূল যোগের সব জল্পনার অবসান হয়ে গেল, এমন বলার সময় হয়তো এখনও আসেনি।