প্রতীকী ছবি। |
সাধারণ বাজেটের সঙ্গে রেল বাজেট অনেক দিন আগেই মিশিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। ফলে এখন আর আলাদা করে নতুন ট্রেন, প্রযুক্তি, ডাবলিং বা ইলেকট্রিফিকেশনের ঘোষণা হয় না। শুধু বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণাতেই এবার ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বাজেট বরাদ্দের ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বরাদ্দ করা হয়েছে ২ লক্ষ ৪১ হাজার কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের পকেটে স্বস্তি! বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে ৭ লাখ, কত আয়ে কত কর
বাজেট পেপার থেকে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে এই হাইড্রোজেন ট্রেন চলবে পাহাড়ি এলাকায়, ন্যারোগেজ লাইনে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, যার অধীনে রয়েছে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি টয় ট্রেন পরিষেবা। এছাড়াও রয়েছে নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ে, কালকা-শিমলা রেলওয়ে, মাথেরান হিল রেলওয়ে, কাংরা ব্যালি, বিলমোরা-দেবগড়-মাদ্রিয়া রুটে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ বছরের শেষেই এই হাইড্রোজেন ট্রেন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় রেলের।
কোন প্রযুক্তিতে চালানো হবে এই ট্রেন? প্রযুক্তিবিদরা জানাচ্ছেন, এই ট্রেনগুলিতে জ্বালানি হিসেবে ডিজেলের পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে হাইড্রোজেনের ফুয়েল সেল। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনকে ফুয়েল সেলে পরিণত করা হবে। সেই ফুয়েল সেলগুলি ট্রেনের মোটরে বিদ্যুতের জোগান দেবে। এই হাইড্রোজেনচালিত ট্রেনে দূষণহীন। কারণ, কার্বনডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন বা পার্টিকুলেট ম্যাটার অর্থাত্ ধুলোকণা কোনওকিছুই উত্পাদন করে না। অর্থাত্ পরিবেশবান্ধব। আরও একটা সুবিধা হল, এই হাইড্রোজেন তৈরি করা যায় হাওয়া, সৌরশক্তি বা জল ব্যবহার করে।
কিন্তু হাইড্রোজেন ট্রেন ব্যাপক হারে বাণিজ্য়িক ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে খরচ। রেটিং এজেন্সি আইসিআরএ-র মতে, ভারতে এক কেজি গ্রিন হাইড্রোজেনের দাম ৪৯২ টাকা। হাইড্রোজেন ইঞ্জিনে ট্রেন চালানোর খরচ ডিজেল ইঞ্জিনের চেয়ে প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু খরচও রয়েছে।
বন্দে ভারত ট্রেনের মাধ্যমে ভারতের সব প্রান্তকে জুড়ে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চলছে বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা। তার সঙ্গে রেলে রিনিউঅ্যাবল এবং গ্রিন এনার্জিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এবং অবশ্যই রয়েছে হাইড্রোজেন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা। সেই লক্ষ্যেই এই বিপুল বরাদ্দ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।